অবশেষে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এমপিকে জনসম্মুখে দেখা গেলো দেড় মাস পর। চাচার জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করতে শনিবার তিনি নিজ বাড়িতে যান। এ সময় বাদ্যবাজনা সহকারে তার কর্মী-সমর্থকরা উল্লাস করে। বিষয়টি নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নতুন





করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।জানা গেছে, মুরাদ হাসানের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান তালুকদার নান্নু গতকাল শুক্রবার ২১ জানুয়ারি রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বীরধানাটা এলাকার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। আজ শনিবার বেলা ১২টায় সরিষাবাড়ী অনার্স কলেজ মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা





অনুষ্ঠিত হয়।আজ জানাজা নামাজের কিছুক্ষণ আগে ডা. মুরাদ হাসান ও তার বড় ভাই হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মাহমুদুল হাসান তালুকদার ঢাকা থেকে বীরধানাটা গ্রামস্থ প্রয়াত চাচার বাসায় যান। সেখানে কয়েক মিনিট থাকার পরই নিজ বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে পৌঁছেন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান ও হাততালি সহকারে উল্লাস প্রকাশ করে।





পাশেই উচ্চশব্দে বাঁশি বাজার শব্দ শোনা যায়। মুরাদ হাসান হাত নেড়ে তাদের উল্লাসের জবাব দেন।এ সময় আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পদস্থ কোনো নেতাকে তার পাশে দেখা যায়নি। তবে নিজস্ব বাহিনী সরিষাবাড়ীর ত্রাস খ্যাত ‘মুকুল বাহিনী’র প্রধান সাখাওয়াত আলম মুকুলকে সার্বক্ষণিক তার পাশে দেখা যায়। সরিষাবাড়ী





থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক এ সময় ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মুরাদ হাসান নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচিত ও প্রতিমন্ত্রীর পদ হারালেও সংশোধন হননি। চাচার জানাজা উপলক্ষে দেড় মাস পর নিজ এলাকায় এলে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত ও উল্লাস এটাই প্রমাণ করে। তার কর্মী-সমর্থকরা এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় এলাকায় নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।




