



এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামার আগে ভয়ংকর সমুদ্রযাত্রার সাক্ষী টিম টাইগার। সেন্ট লুসিয়া থেকে ক্রিকেটারদের গন্তব্য ছিল মার্টিনেক হয়ে ডমিনিকা।




সেন্ট লুসিয়া থেকে টাইগারদের ফেরি যখন মাঝ সমুদ্রে নামে তখনই শুরু হয় ঢেউ। সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আগে থেকেই ছিল। কারোরই অভিজ্ঞতা ছিল না এত দীর্ঘ সমুদ্র পাড়ি দেয়ার!




তার ওপর সম্প্রতি আঘাত হানা সাইক্লোনের কারণে সমুদ্রও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্তাল ছিল। ঢেউয়ের তোড়ে ফেরির বড় বড় দোলানোতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা।বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রায় সবাই এই দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত। এরমধ্যে পেসার শরিফুলের অবস্থা সব থেকে খারাপ, পলিথিনে মুখ ঢুকিয়ে একাধিকবার বমিও করেছে। এছাড়াও নুরুল হাসান এবং ম্যানেজার নাফিস ইকবালও বেশ ভুগেছেন।




তাদের অবস্থা দেখে বাকিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সব মিলিয়ে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতাই হয়েছে ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা না থাকায় বিমানের ব্যবস্থা করা যেত কি না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দিকে এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেয়া হচ্ছে। ক্রিকেটারদের অনেকেই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ জানাচ্ছেন।




এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন চৌধুরীর গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাদের জানিয়েছিলো করোনার কারনে তাদের বিমান চলাচল অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফেরির কথা বলা হয়। তারা আমাদের জানায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ দুদলই একসঙ্গে ফেরিতে ভ্রমণ করবে। তখন আমরা আর কিছু বলিনি।




তিনি আরও বলেন, একটা বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে, কোনো টিম যখন আরেকটা দেশে সফরে যায়, তখন তার আনুষঙ্গিক দায়িত্ব হোম বোর্ডেরই থাকে। আর তখন তাদের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। সেন্ট লুসিয়া থেকে সমুদ্রযাত্রায় ক্রিকেটাররা মাঝপথে বিরতি নিয়েছিল মাটিনেকে। সেখান থেকেই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বাকি পথ বিমান ভ্রমণের ব্যবস্থা করার জন্য।




এ ব্যাপারে বিসিবি সিইও জানান, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আবার আমাদের মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু সমস্যা হয়, মাটিনেক ফ্রেন্স কলোনি। সেখানে ঢুকতে হলে আলাদা ভিসা লাগবে। আর এত স্বল্প সময়ে এটার ব্যবস্থা করা ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) পক্ষেও সম্ভব ছিল না।